যুক্তরাজ্যের একটি পেট্রোল জাহাজ ইংলিশ চ্যানেলে রাশিয়ার করভেট আরএফএন স্টকই এবং ট্যাঙ্কার ইয়েলনা আটক করেছে। সোমবার (২৪ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে সংবাদ সংস্থা এপি এ তথ্য জানায়।
ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় রোববার (২৩ নভেম্বর) জানিয়েছে, গত দুই বছরের মধ্যে যুক্তরাজ্যের জলসীমার আশেপাশে ৩০ শতাংশ বেড়েছে রুশ নৌ তৎপরতা।
পাশাপাশি, যুক্তরাজ্য ন্যাটো মিশনের অংশ হিসেবে তিনটি পোসাইডন পর্যবেক্ষণ বিমান আইসল্যান্ডে মোতায়েন করেছে, যা উত্তর আটলান্টিক ও আর্কটিক অঞ্চলে রাশিয়ান জাহাজ ও সাবমেরিন খুঁজে বের করতে সাহায্য করবে।
ঘটনাটি এমন সময় ঘটেছে যখন প্রতিরক্ষা সচিব জন হিলি জানান, রাশিয়ার গুপ্তচর জাহাজ ইয়ানতারব স্কটল্যান্ডের উপকূলে যুক্তরাজ্যের পর্যবেক্ষণ বিমানগুলোর পাইলটদের দিকে লেজার মেরে চেক করছিলো।
ব্রিটেন এই কার্যক্রমকে ‘অবিবেচক ও বিপজ্জনক’ আখ্যায়িত করেছে এবং জানিয়েছে যে, তাদের ভূখণ্ডে যেকোনো অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে তারা জবাব দিতে প্রস্তুত।
হিলি বলেন, আমাদের বার্তা রাশিয়া ও পুতিনের প্রতি: আমরা আপনাদের দেখছি। আমরা জানি কী করছেন।
রাশিয়ার লন্ডনের দূতাবাস হিলির মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাজ্যের সরকারকে ‘গুজব ছড়ানোর’ অভিযোগ করেছে এবং বলেছে, মস্কোর কোনো আগ্রহ নেই যুক্তরাজ্যের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার।
হিলির সতর্কবার্তা নতুন প্রতিরক্ষা ব্যয় বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা প্রমাণ করছে। প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার রাশিয়া, চীন এবং ইরানের হুমকির কারণে বৃহৎ সামরিক ব্যয় বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি দিলেও সরকারকে অর্থনৈতিক ঘাটতি পূরণের জন্য কর বৃদ্ধি ও ব্যয় কমানোসহ কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে।










